নরসিংদীর মাধবদীতে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন মাইক্রোবাসটির আরও ১০ যাত্রী। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদীর টাটাপাড়ার এমএমকে ডাইংয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন মীম আক্তার (২০), মজিবুর মিয়া (২৫), হেলাল মিয়া (৩২) ও আবু হুরায়রা (৯)। আবু হুরায়রা ও মীম ভাইবোন। আর মজিবুর মিয়া তাদের মামা। তাঁরা ঢাকা থেকে একসঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, মাইক্রোবাসটিতে নারী–শিশুসহ মোট ১৪ জন যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে সিমেন্টবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। মাধবদীর টাটাপাড়া এলাকার এমএমকে ডাইংয়ের সামনে গাড়ি দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে–মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় অন্যদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ১৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় এবং ৮ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় আহতদের একজন আলাল মিয়া। তিনি প্রথম আলোকে জানান, মাইক্রোবাসটিতে তিনজন নারী, এক শিশুসহ ১৩ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার জালালপুর গ্রামের পাড়া-প্রতিবেশী। তাঁরা ঢাকার খিলক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন। একসঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটল।
জানতে চাইলে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা নিহত শিশুর লাশ এবং জব্দ হওয়া কাভার্ড ভ্যান ও মাইক্রোবাস হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। কাভার্ড ভ্যানের চালক দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক।