দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিমের গ্রামে বইছে আনন্দের জোয়ার। নিজেদের এলাকার সন্তানের সাফল্যে শুধু গ্রামবাসী নন, পুরো জেলার মানুষ গর্বিত। আজ বুধবার দেশে ফিরেছে তাকরিম।
তাকরিমের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামে। হিফজ শেষ করে সে মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী, ঢাকার কিতাব বিভাগে ভর্তি হয়েছে। তার বাবা হাফেজ আবদুর রহমান ঢাকার সাভারের দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।
তাকরিমের চাচাতো ভাই হাফেজ মো. আসাদুল্লাহ জানান, ২৬তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৩–এ অংশ নিতে ২০ মার্চ দুবাই যায় তাকরিম। দ্বিতীয় রমজান থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে তাকরিম প্রথম স্থান অর্জন করে। দ্বিতীয় হয়েছেন ইথিওপিয়ার আব্বাস হাদি ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন সৌদি আরবের খালিদ সুলাইমান।
হাফেজ মো. আসাদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেলে তাকরিম দেশে ফিরেছে। তার সঙ্গে তার বাবাও আছেন। এর আগে তাকরিম সৌদি আরব, ইরান ও লিবিয়ায় একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। সেখান থেকেও সে সম্মান বয়ে এনেছে।
এ বিষয়ে মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী, ঢাকার এক শিক্ষক বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম। দুবাই সরকারের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
তাকরিমের সাফল্যের খবর গ্রামে পৌঁছানোর পর এলাকাবাসী উচ্ছ্বসিত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকরিমের খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করছেন।
ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘তাকরিমের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। আমাদের এলাকার ছেলে এত বড় সম্মান বয়ে এনেছে। এর আগেও সৌদি আরব থেকে প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছিল সে। তখন তাকে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।’
ভাদ্রা গ্রামের বাসিন্দা হেকমত আলী বলেন, ‘তাকরিম আমাদের এলাকার গর্ব। যদিও সে ঢাকায় পড়াশোনা করে। তারপরও এলাকার প্রত্যেক মানুষ তার জন্য গর্ববোধ করেন।’
টাঙ্গাইল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘তাকরিম আমাদের টাঙ্গাইল তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমরা তার এই সাফল্যে গর্বিত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই।’