ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেড় ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দেড় ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পূর্বঘোষণা দিয়ে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।

পুলিশ, স্থানীয় সূত্র এবং সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ব্যানার প্রচার করা হয়। এতে লেখা ছিল ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ও গণহারে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল’। আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের জনগণ। উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থেকে বেলা ১১টায় শুরু হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

খবর পেয়ে সকাল ৯টা থেকে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থান নেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী কুট্টাপাড়া শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেন। পরে তাঁরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বিশ্বরোড মোড়ে লাল শালুক হোটেলের সামনে জড়ো হতে থাকে। এখানে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েক শ শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে মহাসড়কে উঠে যান। মুহূর্তের মধ্যে কয়েক শ শিক্ষার্থী মহাসড়কের বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। হালকা বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁরা এক দফা দাবিসহ সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন।

পুলিশ ও বিজিবি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি থাকলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ সময় মহাসড়কের দুই দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা একটায় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান।

সহকারী পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।