গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার

ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে গাছের চারা তুলে ফেলার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর গাছের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার গাছের চারা উপড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী কাওসার ভূঁইয়া (৩৪)। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির বড় ভাই মোশারফ ভূঁইয়া (৩৭) ও ইকবাল ভূঁইয়া (৩০)। অপর দুই অভিযুক্ত হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া (৩৩) ও তাঁর ভাই মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (২৭)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী কাওসার ভূঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া প্রতিবেশী। কাওসার ভূঁইয়ার বাড়ির পাশে তাঁর ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলমের জমি রয়েছে। ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম কর্মসূত্রে এলাকার বাইরে থাকায় ওই জমির দেখাশোনা করেন কাওসার ভূঁইয়া। ওই জমির আল দিয়ে বেশ কয়েকটি মেহগনিগাছের চারা রোপণ করেন তিনি। পূর্বশত্রুতার জেরে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তাঁর ভাইয়েরা গাছগুলো উপড়ে ফেলে দেন।

এ বিষয়ে জানতে পলাতক আসামি ও টংভাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কাওসার ভূঁইয়া বলেন, ‘ওই জমি আমার ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলমের। তিনি বাইরে থাকায় সেই জমিটি আমরা দেখাশোনা করতেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আগে থেকেই জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমি দখল করতে চায়। এ ছাড়া ঘটনার দিন জোড়পূর্বক লোকজন নিয়ে এসে মেহগনিগাছের চারা উপড়ে ফেলে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানাই।’

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ওই দুই ব্যক্তিকে আজ দুপুরে লালমনিরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়াসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।