সাতক্ষীরায় বিএনপি কর্মীকে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমিশ ও জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল লতিফসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার সাতক্ষীরা আমলি ১ নম্বর আদালতে এ মামলা করা হয়।
মামলাটি করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের আজগর আলী। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর মামলাটি করা হলো।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সদর থানার সাবেক পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম ও শেখ সেকান্দার আলী, সদর উপজেলার কুচকুপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, রনি, জনি, ইমামুল হক, আনারুল ইসলাম, শিমুল, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রবিউল ইসলাম, দেবনগর গ্রামের হামজার আলী, মুনছুর আলী, সাইফুল ইসলাম ও কাশেমপুর গ্রামের জাফর আলী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদরের কুচপুকুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বিএনপি কর্মী ছিলেন। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে তাঁকে আটক করে নিয়ে আসেন সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম। পরে তাঁকে হত্যার ভয় দেখিয়ে স্ত্রী চম্পা খাতুনের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চম্পা খাতুন পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করে দেন। পরে বাকি টাকা না দেওয়ায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে হুমায়ূনের বুকে ও পিঠে গুলি করে হত্যা করেন। পিপি আব্দুল লতিফ ছিলেন এ হত্যাকাণ্ডের একজন পরিকল্পনাকারী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আ ক ম ছামছুরজোহা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, আবেদনটি এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক নয়ন কুমার বড়াল।
মামলার বিষয়ে সাবেক পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘কেউ মামলা করলে কী বলার আছে। আমার ভূমিকা সাতক্ষীরার মানুষ জানে। আমি সাতক্ষীরার মানুষকে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি।’
এ বিষয়ে পিপি আব্দুল লতিফের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।