গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল বুধবার রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন এরশাদনগর ২ নম্বর ব্লকের মো. বিপ্লব এবং একই এলাকার ৪ নম্বর ব্লকের সজীব হোসন। তাঁরা দুজনই একটি চাঁদাবাজির মামলার আসামি।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয় ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ওরফে টিভি আনোয়ার এবং টঙ্গী পূর্ব থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। এতে ছুরিকাঘাতে গুরতর আহত হন হৃদয় নামের এক গাড়িচালক। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এর মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় আবারও সেখানে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযানের সময় এরশাদনগর এলাকায় দেখা যায়, বিভিন্ন ব্লক ও রাস্তায় অবস্থান করছেন বিপুলসংখ্যক সেনা ও পুলিশ সদস্য। তাঁরা বিভিন্ন বাড়ি তল্লাশি করছিলেন। এ সময় এলাকায় বিশৃঙ্খলা বা সংঘর্ষে জড়িত থাকার সন্দেহে বিপ্লব ও সজীবকে আটক করা হয়। পরে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর গাজীপুর অঞ্চলের দায়িত্বরত মেজর আসিফ। অভিযান শেষে গ্রেপ্তার আসামিদের টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান শেষে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার হাফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই আমরা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেছি। আগে থেকে টের পেয়ে ঘটনায় জড়িত অনেকেই এলাকা থেকে পালিয়েছেন। তারপরও ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একটি চাঁদাবাজির মামলা আছে।’