হকারদের উঠতে না দেওয়ায় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের দুই স্টুয়ার্ডের (অ্যাটেনডেন্ট) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটায় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি কুমিল্লার লাকসাম জংশন স্টেশনে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের ওই স্টুয়ার্ড ছাড়াও একজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন উপকূল এক্সপ্রেসের স্টুয়ার্ড শামিম আল হাসান ও মো. রাহুল মিয়া এবং ট্রেনের যাত্রী অন্তর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনমাস্টার মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, আজ সকালে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল আটটায় কুমিল্লা লাকসাম জংশনে পৌঁছালে হকাররা ট্রেনে প্রবেশ করতে চান। এই সময় ট্রেনটির স্টুয়ার্ড শামিম ও রাহুল তাঁদের বাধা দিলে হকাররা সংঘবদ্ধভাবে তাঁদের ওপর হামলা করেন। এই সময় ট্রেনে থাকা অন্তর নামের একজন যাত্রী স্টুয়ার্ডদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করেন হকাররা। স্টেশনমাস্টার মাহাবুবুর রহমান আরও বলেন, তাঁরা এ ঘটনায় জিআরপি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
দুই স্টুয়ার্ডের ওপর হামলার ঘটনায় তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আহত স্টুয়ার্ড শামিম বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালনকালে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে হকারদের উঠতে দিইনি বলে তাঁরা কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আমাকে ও আমার সহকর্মী রাহুলকে মারধর করেছেন। পরে ট্রেনের যাত্রীরা আমাদের সাহায্য এগিয়ে আসেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসে আমি বাদী হয়ে রেলওয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।’
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুরাদ উল্লাহ বাহার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেলে তাঁদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে দুই স্টুয়ার্ডের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান রেলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, লাকসাম রেলওয়ে জংশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সালামত উল্লাহকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁদেরকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রেলওয়ের নিরাপত্তা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।