জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘রাজাবাবুর’ দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার পাখিমারি গ্রামে
জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘রাজাবাবুর’ দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার পাখিমারি গ্রামে

জামালপুরের ষাঁড় ‘রাজাবাবুর’ দাম ১২ লাখ

পরম যত্নে পালা ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘রাজাবাবু’। ৯ ফুট ১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার রাজাবাবু সোনালি শরীরে কালো ছাপের একটি ষাঁড়। এটির ওজন ২০ মণ বলে দাবি মালিকের। সে জন্য বিশালাকার পশুটিকে দেখতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় সময়ই লোকজন আসছেন।

রাজাবাবুর জন্ম জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার পাখিমারি গ্রামে। ভালোবেসে গরুটির মালিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এই নাম রেখেছেন। পেশায় কাঠমিস্ত্রি রফিকুল তিন বছর ধরে ষাঁড়টি পালন করছেন। তাঁর দাবি, বর্তমানে এটিই উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু।

এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় রাজাবাবুকে হাটে তোলা হবে। বিশাল শরীরের অধিকারী হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই আশপাশ এলাকার লোকজন এটিকে দেখতে আসছেন। মালিক রফিকুল ইসলাম রাজাবাবুর দাম হেঁকেছেন ১২ লাখ টাকা।

রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর একটি গাভি ছিল। সেটি থেকেই রাজাবাবুর জন্ম। এটির বয়স এখন তিন বছর। দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটি হৃষ্টপুষ্ট করেছেন তিনি। প্রয়োজনমতো খাবার দেন ও পরিচর্যা করেন। দিনে দিনে ওজন বেড়ে গরুটি ২০ মণে এসে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজাবাবুকে বাড়ির সামনে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। গরুটিকে রফিকুলের স্ত্রী সুফিয়া ঘাস খাওয়াচ্ছেন। লোকজন দেখে গরুটি বারবার তেড়ে যাচ্ছিল। সুফিয়া গরুর শরীরে হাত বুলিয়ে শান্ত করছিলেন।

বকশীগঞ্জ শহর থেকে ষাঁড়টিকে দেখতে এসেছেন বাবু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘গরুটি দেখতে অনেক সুন্দর। অনেক বড় গরু। এত বড় গরু এ উপজেলায় মনে হয় আর নেই। গরুর নাম রাজাবাবু শুনেই দেখতে এসেছি।’

ষাঁড়টির মালিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাজাবাবু দেশি জাতের গরু। এর খাদ্যতালিকায় আছে কাঁচা ঘাস, খড় ও খুদের ভাত। সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন প্রায় ১০ কেজি খাবার খায়। তিনি বলেন, ‘গরু লালন-পালন করতে আমার ভালোই লাগে। কাঠমিস্ত্রির কাজ শেষ করেই রাজাবাবুর কাছে চলে আসি। নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি পালন করেছি। অনেক সময় ঘরে খাবার না থাকলেও রাজাবাবুর খাবার ঠিকই সংগ্রহ করেছি।’