সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে তাঁর বাড়িতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন তাঁরা। এ সময় বিপরীতমুখী একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে তাঁদের বহনকারী গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পরিবারের তিন সদস্য নিহত হন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার আছুরিঘাট এলাকায় মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জুড়ী উপজেলার কুচাই ফাঁড়ি চা-বাগানের বাসিন্দা দীনবন্ধু মুন্ডা (৫৫) ও তাঁর ছেলে পূজন মুন্ডা (৩৫) এবং দীনবন্ধুর বড় ভাই রবীন্দ্র মুন্ডা (৬০)। এ ঘটনায় গাড়ির চালক ও ওই পরিবারের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিস, থানা-পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, দীনবন্ধু মুন্ডার এক মেয়ের বিয়ে হয় শ্রীমঙ্গলের রাধানগর চা-বাগান এলাকায়। মেয়ের শাশুড়ি পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাঁকে দেখতেই দীনবন্ধু অটোরিকশা ভাড়া করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গতকাল সকালে শ্রীমঙ্গলে রওনা দেন। বিকেলের দিকে তাঁরা সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আছুরিঘাট এলাকায় পৌঁছালে তাঁরা ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন।
এ সময় বিপরীতমুখী একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে তাঁদের বহনকারী অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে পূজন মুন্ডা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন গাড়ির ভেতরে আটকা পড়া হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দীনবন্ধু, দীনবন্ধুর স্ত্রী কবিতা মুন্ডা, বড় ভাই গোপাল মুন্ডা, রবীন্দ্র মুন্ডা ও অটোরিকশাচালক আমির উদ্দিনকে মৌলভীবাজার সদর এবং সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই পূজন মুন্ডার মৃত্যু হয়। মৌলভীবাজারের হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবীন্দ্র মুন্ডা এবং সিলেটে নেওয়ার পথে দীনবন্ধু মুন্ডার মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী পঞ্চ নায়েক আজ সোমবার সকালে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনজনের লাশ ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতালে আছে। আইনি প্রক্রিয়া ও ময়নাতদন্তের পর লাশগুলো হস্তান্তর করা হবে।