রংপুরে কালোবাজারির মাধ্যমে কেনা ৪৭০ বস্তা সরকারি গম অন্যত্র পরিবহনের সময় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গমভর্তি একটি কাভার্ড ভ্যানও উদ্ধার করা হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি এ গমের প্রতিটি বস্তার ওজন ৫০ কেজি করে।
আটক দুই আসামি হলেন রংপুর মহানগরী নূরপুর এলাকার হাজী নিজাম উদ্দিনের ছেলে জিসান উদ্দিন ওরফে প্রিন্স (২৯) ও হারাগাছ পোদ্দারপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্বাস আলী (৪২)। আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) তাজহাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আরপিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মহানগরীর দমদমা ব্রিজসংলগ্ন মহাসড়কের পার্শ্বে অভিযান পরিচালনা করে ওই দুজনকে আটক ও গম উদ্ধার করে।
উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দমদমা ব্রিজসংলগ্ন মহাসড়কের পাশে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় খাদ্য অধিদপ্তরের ৪৭০ বস্তা সরকারি গম উদ্ধারসহ একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া গমের মোট ওজন ২৩ হাজার ৫০০ কেজি। বর্তমান বাজারে এর আনুমানিক মূল্য হবে ৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান আরও বলেন, গম উদ্ধারের সময় দুজনকে আটক করা হয়। তাঁরা রংপুর মহানগরীর আলমনগর খাদ্য অধিদপ্তরের গুদাম থেকে মেসার্স রিপন ময়দা মিলের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি গম বিধিবহির্ভূতভাবে কালোবাজারির মাধ্যমে নিজাম উদ্দিন ট্রেডার্সের কাছে বিক্রয় করেন। নিজাম উদ্দিন ট্রেডার্স আবার এসব গমের বস্তা দিনাজপুর ফুলবাড়ীর মেসার্স রানা ট্রেডার্সের কাছে বিক্রি করে, যা কাভার্ড ভ্যানে করে পরিবহনের সময় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে তাজহাট থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।