সিলেট আদালতে মামলার হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে খুন হয়েছেন এক যুবক। এতে নিহত যুবকের ভাইও গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের রুকনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুনেদুল ইসলাম (৩০) বালাগঞ্জ উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের কলমপুর গ্রামের কানাই মিয়ার ছেলে। আহত হয়েছেন জুনেদুলের ভাই জাহেদুল ইসলাম (৩৫)।
নিহত যুবকের দুলাভাই মোজাম্মেল হক বলেন, জুনেদুল ও জাহেদুল একটি মামলায় হাজিরা দিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। পথে অটোরিকশার গতিরোধ করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালান। ঘটনাস্থলে জুনেদুলের মৃত্যু হয়েছে। আহত জাহেদুলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
মোজাম্মেল হক অভিযোগ করেন, তাঁর শ্যালকদের পরিবারের সঙ্গে হামলাকারীদের পূর্ব বিরোধ ছিল। প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আহাদ আলী, আক্তার আলী ও মজির উদ্দিন এই হামলার সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুনেদুল ইসলামসহ তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের এক ব্যক্তির পা কেটে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা চলছে। ওই মামলায় হাজিরা দিতে আজ সকালে জুনেদুল, জাহেদুলসহ কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলেট আদালতের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ফেঞ্চুগঞ্জের রুকনপুর গ্রামের জামে মসজিদের পাশে সকাল ৯টার দিকে পৌঁছালে ১৫-২০ জন অটোরিকশা আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলায় চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই জুনেদুলের মৃত্যু হয়। আহত ব্যক্তিদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় এক বছর আগে পূর্ব কোনো বিরোধের জেরে একজনের পা কেটে ফেলার অভিযোগ ছিল জুনেদুল ইসলাম ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় হাজিরা দিতে তাঁরা সিলেটের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন তাঁদের ওপর হামলা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।