নেত্রকোনায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় ব্যানার-ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে অগ্নিসংযোগ ও মোটরসাইকেল–মাইক্রোবাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের এই হামলায় ২৩ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ সময় পুলিশ বিএনপির পাঁচজন নেতা-কর্মীকে আটক করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপির নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে মারামারি করে কেউ আহত হতে পারেন।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকালে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা পদযাত্রার আয়োজন করেন। কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের পারলা বাসস্টেশন, বনোয়াপাড়া, কুড়পাড়, মোক্তারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন।
বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় ব্যানার–ফেস্টুন ছিনিয়ে নিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস ভাঙচুরসহ বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। হামলায় বিএনপির অন্তত ২৩ জন আহত হন।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় বিএনপির ২৩ নেতা-কর্মী আহত হন। এরপর পুলিশ উল্টো বিএনপির ৫ নেতা-কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি আটক হওয়া নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেননি। হয়তো এটা বিএনপির নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে মারামারি করে কেউ আহত হতে পারেন।
জেলা বিএপির আহ্বায়ক মো. আনোয়রুল হক বলেন, সরকার যতই চেষ্টা করুক, এভাবে বিএনপির আন্দোলন–সংগ্রামকে প্রতিহত করতে পারবে না। সরকারি জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আরও বেশি বলীয়ান হবে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, আজ সকালে শহরের বেশ কয়টি স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঝামেলার চেষ্টা করেছিলেন। সেখান থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।