দিনমজুর বাচ্চু মিয়া। শৌখিন মৎস্যশিকারি। সময় পেলেই বাড়ির কাছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ফেরিঘাটে কুশিয়ারা নদীতে বড়শি নিয়ে বসেন। ছয় মাস ধরে এ কাজ করে আসছেন বাচ্চু মিয়া। অবশেষে তাঁর বড়শিতে ধরা পড়ল সাড়ে ১৮ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাছটি শিকার করেন বাচ্চু মিয়া। পরে তিনি মাছটি বিক্রির জন্য জগন্নাথপুর মৎস্য আড়তে নিয়ে যান। এ সময় মাছটি একনজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় করেন। মাছটি বিক্রি করা হয়েছে। জগন্নাথপুর বাজারের শাপলা মৎস্য আড়তের মালিক মোতাহির আলী বলেন, সাড়ে ১৮ কেজির ওই বোয়াল মাছটি ২৬ হাজার ৫০০ টাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
রানীগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমি একজন দিনমজুর। কাজ না থাকলে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করতে ভালো লাগে। তাই ছয় মাস ধরে কুশিয়ারা নদীতে বড়শি বেয়ে আসছি। ছয় মাস ধরে একটি মাছও বড়শিতে লাগেনি। শেষমেশ ইয়া বড় বোয়াল ধরতে পেরে খুব খুশি।’
মাছটি বিক্রি করলেন কেন—জানতে চাইলে বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমি শৌখিন শিকারি। দীর্ঘদিন ধরে নদীতে বড়শি বেয়ে মাছটি শিকার করেছি। কিন্তু এত বড় মাছ খাওয়ারও তেমন কেউ নেই আমার। তাই বিক্রি করে দিয়েছি। যে টাকা পেয়েছি, তাতে সংসারের অনেক দিনের খরচ জোগাতে পারব।’
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, কুশিয়ারা নদীতে বড়শিতে প্রায়ই বড় বড় বোয়াল ধরা পড়ে। দিনমজুর শৌখিন মাছশিকারি বাচ্চু মিয়ার বোয়ালটি সাম্প্রতিক কালের বড়শিতে ধরা পড়া বড় বোয়াল।