পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের করা ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় সাবেক উপাচার্য এম রোস্তম আলী জামিন পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সশরীর পাবনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১-এ উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত দুই হাজার টাকা বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল আজিজ সাবেক উপাচার্যের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৪ মার্চ পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১-এ উপাচার্যের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর আওয়াল কবির। আওয়াল কবির বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন তিনি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপাচার্য এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
২০১৮ সালের ৭ মার্চ এম রোস্তম আলী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। গত ৬ মার্চ তাঁর মেয়াদ শেষ হয়।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, বাদী আওয়াল কবির বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বরে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য তিনি আমন্ত্রণ পান। কিন্তু রিজেন্ট বোর্ডের ওই সভায় যোগ দিতে গেলে উপাচার্য এম রোস্তম আলী ক্ষমতার অপব্যবহার করে আওয়াল কবিরকে সেখানে প্রবেশ করতে দেননি। একই সঙ্গে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত নেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্ত কমিটির নামে নানাভাবে হয়রানি করেন। এতে আওয়াল কবিরের সামাজিক, ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক সম্মানহানি হয়েছে এবং তিনি সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন মর্মে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে মানহানির মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক উপাচার্য এম রোস্তম আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। যা হওয়ার, আদালতেই হবে।’
২০১৮ সালের ৭ মার্চ এম রোস্তম আলী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। গত ৬ মার্চ তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। দায়িত্বে থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়োগ–বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৩ দিন আগেই তিনি চুপিসারে ক্যাম্পাস ছাড়েন।