ঘন কুয়াশায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ রোববার সকালে তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। কুয়াশা কেটে গেলে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে নদী পাড়ি দিতে গিয়ে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া দুটি রো রো (বড়) ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন ফেরিতে থাকা যানবাহনের যাত্রীরা।
এর আগে ২৭ অক্টোবর সকালে মৌসুমের প্রথমবারের মতো ঘন কুয়াশায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মৌসুমের দ্বিতীয় দিনের মতো আজ রোববার ভোর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে পদ্মা নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। ভোর চারটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া যানবাহনবোঝাই বড় ফেরি ভাষাশহীদ বরকত এবং পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ফেরির মাস্টার মাঝ নদীতে গিয়ে বিকন বাতি দেখতে পাচ্ছিলেন না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর সাড়ে চারটা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কুয়াশা কেটে গেলে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ফেরি চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।
রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সৌহার্দ্য পরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট তত্ত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, ঢাকাগামী পরিবহনটি দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছানোর আগেই ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাত্রীবোঝাই বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার পরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহন ঘাটে আটকা পড়ে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এই নৌপথে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি থাকলেও ৩টি ফেরি যান্ত্রিক সংস্কারকাজে ভাসমান কারখানায় রয়েছে। বাকি ১২টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।