জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম ২০২৪-এর অভ্যুত্থানে যেভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল, ওই স্পিরিট যেন থাকে। সামনে এমন যদি সংকট তৈরি হয়, তাহলে তারা যেন একসঙ্গে আবার ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে পারে, একসঙ্গে লড়াই করতে পারে। এ জন্যই তাদের কাছে আসা এবং তাদের সঙ্গে কথা বলা।
রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়নের টুনিরহাট এলাকার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের যাঁরা সম্মানিত শিক্ষক রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হওয়া এবং স্কুল-কলেজগুলোতে অসংখ্য সমস্যা রয়েছে, অসংখ্য সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো জানা। যদি সম্ভব হয়, আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা, সেগুলো দেশের সামনে তুলে ধরা। আমরা মনে করি, এগুলো আমাদের দায়িত্ব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়া, সিস্টেমগুলো সংস্কার করার জন্য বিষয়গুলো সামনে আসা জরুরি। সেই জায়গা থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা–উপজেলায় এভাবে যাব, আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের জায়গা থেকে এই কাজগুলো করব।’
তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের আসলে কোনো একটা সেন্ট্রাল জায়গা বা ঢাকায় বসে থেকে প্রতিনিধিত্ব করা যায় না। আমরা মনে করি, আমাদের মাঠ-ঘাট চষে বেড়ানো উচিত, প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া উচিত। যারা তরুণ প্রজন্মের রয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। আমাদের চিন্তাগুলো তাদের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত। আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করা উচিত। এ ছাড়া তাদের কথাগুলো তাদের মুখ থেকে যেন শুনতে পারি, মূলত এই উদ্দেশ্যেই আমার জন্মস্থান পঞ্চগড়ে আসা। এখানকার প্রতিটা গ্রাম-ইউনিয়ন ও বাজারে আমি যেতে চাই এবং মানুষের কথা শুনতে চাই।’
এ সময় সেখানে শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রিনা পারভীন, কলেজের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান প্রধান, কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান, পঞ্চগড়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী ও মোকাদ্দেসুর রহমানসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারজিস আলম দিনভর পঞ্চগড় সদর উপজেলার অন্তত ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।