সিলেটে জঙ্গি সংগঠন ‘শারক্বীয়া’র দাওয়াতি শাখার প্রধানসহ চারজন গ্রেপ্তার: র‍্যাব

সংবাদ সম্মেলন শেষে জঙ্গিদের গণমাধ্যমের সামনে আনা হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে
ছবি: আনিস মাহমুদ

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দাওয়াতি শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য আবদুল্লাহ মায়মুন ওরফের মুমিনসহ (৩৪) চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেটের বিমানবন্দর বড়শালা এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

আজ দুপুর ১২টার দিকে র‍্যাবের সিলেট সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই চার ব্যক্তি র‍্যাবকে জানিয়েছেন, তাঁরা সংগঠনের আমিরের নির্দেশে আত্মগোপনে ছিলেন। এর মধ্যে আবদুল্লাহ মায়মুন সিলেটে অবস্থান করে জঙ্গিদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন। তাঁরা সবাই পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা আবদুল্লাহ মায়মুন, ফরিদপুরের চরভদ্রসনের মো. আবু জাফর ওরফে জাফর ওরফে তাহান (৪০), চাঁদপুর মতলব উত্তরের মো. আক্তার কাজী ওরফে সাইদ ওরফে আইজল (৩৮) ও গোপালগঞ্জ মুকসেদপুরের সালাউদ্দিন রাজ্জাক মোল্লা (৩২)।

আবদুল্লাহ মায়মুন শারক্বীয়ার দাওয়াতি শাখার প্রধান বলে জানিয়েছে র‍্যাব

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে র‍্যাব। আবদুল্লাহ মায়মুনসহ ওই চার ব্যক্তি তাঁদের পরিচয় গোপন করে সিলেটের বড়শালা এলাকার একটি বাসায় ছয় থেকে সাত দিন ধরে অবস্থান করছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে যে জঙ্গিরা পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে মায়মুনের ভালো সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগ খতিয়ে দেখছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন র‍্যাব-৯–এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক।