উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কথা হলে অনেক ভোটারই এ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের জানাশোনা কম বলে জানান
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কথা হলে অনেক ভোটারই এ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের জানাশোনা কম বলে জানান

কিসের ভোট, জানেন না অনেক ভোটার

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মহলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে আজ সকালে উপজেলা নির্বাচনের ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসেন মহলাল গ্রামের বাসিন্দা মালিক মিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোট দিবার লাগি আইলাম। কেউ কইছে না (বলেনি)। নির্বাচনে ভোট দিছি। কিতার লাগি ভোট দিছি, ওখন কিতা কইতাম (এখন কী বলব)।’

এ নির্বাচন কিসের ছিল, সেটি মালিক মিয়ার কাছে পরিষ্কার নয়। ভোট দিতে হয়, তাই ব্যক্তি ও প্রতীক দেখে তিনি ভোট দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কদমহাটা, মহলাল, গোবিন্দবাটি, টেংরা, তারাপাশা, রাজনগর কলেজ, নন্দীউড়া, গয়াসনগর, মুন্সীবাজার, বিমলাচরণ কেন্দ্রসহ ১৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন এই প্রতিবেদক। ভোটারের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কথা হলে অনেক ভোটারই এ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের জানাশোনা কম বলে জানান।

উপজেলার টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন হরিয়ারপুরের বাসিন্দা মমতা কর। কিসের ভোট দিলেন, জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা সরকারি নির্বাচন জানি। ভোট দিছি, আর জানি না।’ হরিয়ারপুরের স্বপ্না কর বলেন, ‘মেম্বার-চেয়ারম্যানের ভোট দিছি। আর কিছু জানি না।’ একই গ্রামের লিপি কর বলেন, ‘কিসের ভোটত জানি না। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরে পাঁচ বছরের লাগি ভোট দিলাম।’

শহীদ সুদর্শন উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটার ডেফলউড়ার আলিফ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেউ আমার কাছে ভোট চাইতে যায়নি। ভোট দেওয়া আমার অধিকার, ভোট দিতাম আইছি (দিতে এসেছি)।’

রাজনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৫২ জন।