মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের বিরুদ্ধে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার তৌলকাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গিবাড়ী থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত বৃদ্ধের নাম কাদির হালদার (৬৫)। তিনি তৌলকাই গ্রামের বাসিন্দা।
স্বজন, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তৌলকাই গ্রামের মোবারক হালদার নামের এক ব্যক্তি তাঁর একটি জমি বিক্রি করবেন। সেই জমি তাঁর আপন ভাই কাদির হালদার, ফারুক হালদার ও জালাল হালদার কিনবেন। তবে জালাল হালদারের বড় ছেলে রুবেল হালদার অন্য চাচাদের না জানিয়ে গোপনে এক মাস আগে ওই জমি মোবারক হালদারের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি করে নেন। এ নিয়ে কাদির হালদারসহ অন্য চাচাদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে কাদির হালদার তাঁর দুই ছেলে আরিফ হালদার, ফয়সাল হালদার ও তাঁর ভাই ফারুক হালদারকে নিয়ে রুবেল হালদারদের বাড়িতে যান। কেন ওই জমি অন্য চাচাদের দিচ্ছেন না—সে নিয়ে রুবেল ও কাদির হালদারদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রুবেল হালদার, মোবারক হালদার, লাবু হালদার, শহীদ শেখ বাক্কার শেখসহ কয়েকজন কাদির হালদার, তাঁর দুই ছেলে ও ফারুখ হালদারকে পিটিয়ে জখম করেন। কাদির হালদারকে উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নিহত কাদির হালদারের ছেলে আরিফ হালদারের স্ত্রী ফারজানা বেগম বলেন, ‘জমি নিয়ে রুবেল হালদারের সঙ্গে আমার শ্বশুর কাদির হালদারদের বিরোধ ছিল। রুবেলরা জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ঝগড়াঝাঁটি করল। আমার স্বামী আরিফ হালদার ও দেবর ফয়সাল হালদারকে পিটিয়ে আহত করল। খুনি রুবেল হালদার, মোবারক হালদার, লাবু হলদার, শহীদ শেখ ও বাক্কার শেখদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে আরিফ হালদার বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।