রাজশাহীতে মোহনপুর থানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এ সময় থানার সংলগ্ন দোকানপাট, উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আজ রোববার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এ সময় ভয়ে পুলিশ বা অন্য কেউ তাঁদের বাধা দিতে আসেনি।
স্থানীয়রা বলেন, প্রথমে মোহনপুর থানা-সংলগ্ন দোকানপাটে আগুন দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা থানার ভেতরে ঢুকে আগুন দেন পুলিশের দুটি গাড়িতে। এতে গাড়ি দুটি পুড়ে যায়। একইভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় আশপাশের এলাকা একেবারে ধোঁয়ায় কালো হয়ে যায়। এরপর তাঁরা উপজেলা সদর থেকে মোহনপুর পৌর এলাকার দিকে চলে যান। সেখানে কেউ তাঁদের প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসেনি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে আসছেন, এমন খবর পেয়েই পৌর সদরের ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন। সেখানেও বিক্ষোভকারীদের কেউ প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসেনি।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরিদাস মণ্ডল বলেন, বিক্ষোভকারীরা থানার পাশের দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেন। থানার ভেতরে দুটি গাড়ি ও ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ করেন।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও তৎক্ষণাৎ আগুন নেভাতে যেতে পারেননি। মোহনপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা নিতাই চন্দ্র জানান, এই পরিস্থিতির কারণে তাঁরা বের হতে পারেননি। আন্দোলনকারীরা চলে যাওয়ার পরে তাঁরা গেছেন।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বলেন, নেতা-কর্মীদের তিনি অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নেতা-কর্মীরা সেখানে ছিলেনও। আর থানায় হামলাকারীরা সশস্ত্র অবস্থায় ছিল। এ জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বাধা দিতে পারেননি। আর পুলিশও ধৈর্য ধরেছে। নতুবা প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটত।
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস বলেন, হামলাকারীরা এসে তাঁর কার্যালয়ের নিচতলার তালা ভেঙে ভাঙচুর করেছে। গ্যারেজে তাঁর গাড়ি ছিল। তাঁরা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তিনি দোতলায় ছিলেন। হামলাকারীরা নিচে আগুন দিয়ে চলে যায়। দোতলায় ওঠেনি।