ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি তারেকুল ইসলামের (২৯) সঙ্গে ১২ মার্চের পর আর কথা হয়নি পরিবারের কারও। ফলে এ নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পার করছেন তারেকুলের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন ও মা হাসিনা বেগম।
তারেকুলের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ছকড়িকান্দি গ্রামে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছোট। জলদস্যুদের কবলে থাকা কেএসআরএম গ্রুপের এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে তারেকুল থার্ড ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ জন বর্তমানে দস্যুদের হাতে জিম্মি।
তারেকুলের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ না হলেও যে কোম্পানির জাহাজে চাকরি করেন, সেই এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিকপক্ষ নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
যেদিন জাহাজটি জিম্মি করা হয়েছে, সেদিন ছেলের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কথা হয়েছে। এর পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘জাহাজ কোম্পানির আশ্বাসের কথা শুনে আশায় বুক বাঁধি। তারপরও বোঝেন তো, বাবা-মায়ের মন। বুঝ তো মানে না।’