যশোরের চৌগাছা উপজেলায় রাবেয়া বেগম হত্যা মামলার প্রধান আসামি তামিম হোসেন নামের এক তরুণকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলা শহরের সবজি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তামিম উপজেলার বাঘারদাড়ি গ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঘারদাড়ি গ্রামের রাবেয়া খাতুন নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার প্রতিবেশী তামিমদের বাড়ির প্রাচীরের মধ্যে ডোবা থেকে রাবেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী রবিউল ইসলাম প্রতিবেশী তামিম, তাঁর বাবা তাজউদ্দিন ও চাচা জসিম উদ্দিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুরে চৌগাছা সবজি বাজারে তামিমকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দলবদ্ধ হয়ে পিটুনি দেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর থানায় নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পায়েল হোসেন বলেন, তামিম রাবেয়া হত্যার প্রধান আসামি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকি দুই আসামি পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।
স্থানীয় লোকজন জানান, সম্প্রতি প্রতিবেশী তামিমের কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন রাবেয়া বেগম। সেই পাওনা টাকার জন্য তামিম চাপ দেন। তাৎক্ষণিকভাবে পাওনা টাকা দিতে না পারায় তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
৮ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে ফেরার পথে নিখোঁজ হন রাবেয়া বেগম। দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবেশী তাজুল ইসলামের বাড়ির পাশে রাবেয়া বেগমের ব্যবহৃত একটি জুতা ও ছোট টর্চলাইট পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনেরা। সেখানে খোঁজ করে দেখেন নলকূপের পানি ফেলা গর্তে রাবেয়া বেগমের ওড়নার কিছু অংশ ভেসে আছে। এ সময় গর্ত থেকে নিহত নারীর মরদেহ শনাক্ত করা হয়।