কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীকে (১৫) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে কটিয়াদীর একটি গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে জখম করা হয়।
ঘটনার পর ওই স্কুলছাত্রীকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আহত কিশোরী কটিয়াদীর ওই গ্রামের এক প্রবাসীর মেয়ে। বাবা দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় মায়ের সঙ্গে থাকত ওই কিশোরী।
স্বজনদের অভিযোগ, দূরসম্পর্কের আত্মীয় মনির শাহের (২১) বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মনির এ ঘটনা ঘটান। মনির কটিয়াদীর কুঁড়িখাই গ্রামের নিদু শাহের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় শ্লীলতাহানি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলার পর মনির গা ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীকে পছন্দ করতেন মনির, বিয়ের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু ওই কিশোরী রাজি না হওয়ায় তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে মনির ক্ষতি করার হুমকি দেন। হুমকি পেয়ে মনিরের স্বজনদের বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চান কিশোরীর মা। এতে মনির আরও ক্ষুব্ধ হন। ওই কিশোরীর বাবা প্রবাসে থাকায় রাতে মা-মেয়ে এক ঘরে থাকেন। ভোরে ওই কিশোরীর মা প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে গেলে মনির ঘরে ঢুকে কিশোরীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। কিশোরী প্রতিহতের চেষ্টা করলে মনির চাপাতি দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন। কিশোরীর চিৎকারে স্বজনেরা এগিয়ে এলে মনির পালিয়ে যান।
কিশোরীর মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনির আমার মেয়ের ক্ষতি করার কথা আগেই বলেছিল। পরিবারের লোকজনকে এই কথা জানানো হয়। কিন্তু তাঁরা আমার কথা আমলে নেননি।’ তিনি বলেন, দুই পায়ে হাঁটুর নিচে ও হাতে কোপানো হয়েছে। দুই হাতের কয়েকটি আঙুল গুরুতর জখম হয়েছে।
এ ঘটনায় মনিরকে অভিযুক্ত করে থানায় শ্লীলতাহানি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মনির এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদ বলেন, মনিরকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।