ডাকাতদলের হানায় তছনছ হয়ে আছে ঘরের একটি কক্ষ
ডাকাতদলের হানায় তছনছ হয়ে আছে ঘরের একটি কক্ষ

অন্ধকার ঘরে ছাদ থেকে নেমে এল ৫ ডাকাত, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

চৌচালা টিনের ঘরে একাকী থাকেন বিবি আয়েশা (৫০)। রাতে ঘুমানোর উদ্দেশ্যে খাটে শোবার পর হঠাৎ খেয়াল করলেন ঘরের ছাদের পাটাতন থেকে কারও নেমে আসার শব্দ। অন্ধকার ঘরে কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। তবে বাতি জ্বালাতেই তাঁর হুঁশ হারানোর উপক্রম। ঘরের ভেতর ঘুরছেন অচেনা পাঁচ যুবক। একজন এসে মুখের কাছে অস্ত্র ধরে বলেন আলমারির চাবি দিতে। এরপর তাঁর চোখের সামনেই ঘরের আলমারি খুলে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যান ওই যুবকেরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। বিবি আয়েশার ঘরটি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বাউরিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গাছতলা এলাকায়।

বিবি আয়েশা জানান, তাঁর ঘরের সামান্য দূরে আরও দুটি ঘর রয়েছে। তবে ডাকাতির ঘটনা যখন ঘটে, তখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে প্রতিবেশীরাও কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। ডাকাতের চলে যাওয়ার পর তিনি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে রাতেই ঘরটি পরিদর্শন করে সন্দ্বীপ থানা-পুলিশ।

বিবি আয়েশার ধারণা, ডাকাতদল তাঁর অগোচরে সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকে পড়েন। তিনি বলেন, মাগরিবের আজান দেওয়ার পর তিনি অজু করতে বাড়ির পেছনের অংশে ছিলেন। এই সুযোগে ঘরে ঢুকে হয়তো ঘাপটি মেরে ছিলেন ডাকাতেরা। ডাকাতদলের কাউকেই তিনি চেনেননি।

ডাকাতদল তাঁর এক ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে জানিয়ে বিবি আয়েশা বলেন, স্বামী-ছেলে মধ্যপ্রাচ্যে থাকে, তাই হয়তো ডাকাতদল ভেবেছিল অনেক কিছু পাবে। ডাকাতির বিষয়ে মামলা করবেন তিনি।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাত দেড়টায় আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি কিছু বখাটে বা নেশাগ্রস্তের কাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। ভুক্তভোগী এলে আমরা মামলা নেব।’