বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গণমিছিল। গতকাল বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায়
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গণমিছিল। গতকাল বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায়

শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা আবার ষড়যন্ত্র করছেন: সৈয়দ এমরান সালেহ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা আবার ষড়যন্ত্র করছেন। ৭ নভেম্বর ও ৫ আগস্টের বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আজ বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গণমিছিল শুরুর আগে সমাবেশে সৈয়দ এমরান সালেহ এ কথাগুলো বলেন।

সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর সিপাহি–জনতার বিপ্লব, নব্বইয়ের স্বৈরাচার পতনে গণ-অভ্যুত্থান ও সাম্প্রতিক ফ্যাসিবাদ পতনের ছাত্র-গণবিপ্লবের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা একই সূত্রে গাঁথা, এক ও অভিন্ন। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র রক্ষা ও দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ৭ নভেম্বর সিপাহি–জনতার বিপ্লব মাইলফলক হয়ে থাকবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদী আগ্রাসী শক্তি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে ভয় পায়। তাদের রাষ্ট্রঘাতী কর্মকাণ্ডের কারণেই পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর সিপাহি–জনতার সম্মিলিত বিপ্লব সাধিত হয়েছিল। ঠিক একই কারণে এ বছর ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের পতন হয়েছে।

স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের কায়েম করা ফ্যাসিবাদের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরে ৭ নভেম্বর সিপাহি–জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র কাঠামোতে যুগান্তকারী সংস্কার সাধিত হয়েছিল বলে মনে করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ। তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সূচিত সেসব সংস্কারের সুফল জাতি পাচ্ছে। একদলীয় বাকশালি শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্র, নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির পরিবর্তে মুক্তবাজার অর্থনীতি, সংবাদপত্র ও সংগঠন করার স্বাধীনতা, আইনের শাসন, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের অবদান।

সমাবেশ শেষে সৈয়দ এমরানের নেতৃত্বে গণমিছিল ধোবাউড়া সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গণমিছিলে যোগ দেন।