ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ঘুম থেকে ডেকে তুলে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত নারীর নাম শিউলী আক্তার (৩০)। শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে তাঁর চাচাশ্বশুর সোলায়মান মিয়া তাঁকে কুপিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার সকাল সাতটার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত শিউলী আক্তার ওই গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শরিফুল ও শিউলী দম্পতির পাঁচ মাসের একটি মেয়েশিশুসহ তিন মেয়ে রয়েছে। তাঁদের ৬ বছরের মেয়ে লামিয়ার সঙ্গে গতকাল শুক্রবার বিকেলে সোলায়মান মিয়ার (শরিফুলের চাচা) ছেলের ঝগড়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে সোলায়মান ঘুম থেকে ডেকে তোলেন ভাতিজা শরিফুল ও তাঁর স্ত্রী শিউলীকে। দুই শিশুর ঝগড়ার বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সোলায়মান দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করেন শিউলীকে। এ সময় শরিফুলকেও কোপানোর চেষ্টা করলে তিনি দৌড়ে গিয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন। আশপাশের লোকজন সোলায়মানকে ফেরাতে চেষ্টা করলে তাঁদের ওপরও দা নিয়ে তেড়ে যান সোলায়মান।
নিহত নারীর স্বামী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে আমার চাচাতো ভাইয়ের খেলাধুলার সময় ঝগড়া হয়েছিল। বাচ্চাদের মধ্যে এ ধরনের ঝগড়া হয়েই থাকে; কিন্তু আমার চাচা এসে অহেতুক আমাদের ওপর চড়াও হন। আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।’
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গেলে অভিযুক্ত সোলায়মান ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। মুক্তাগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়ার জেরে সোলায়মান মিয়া নামের এক ব্যক্তি ঘুম থেকে তুলে শিউলী আক্তারকে হত্যা করেছেন। নিহত নারীর শরীরে তিনটি কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর স্বামীকেও কোপানোর জন্য তাড়া করেছিলেন ওই ব্যক্তি। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকায় তাঁকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।