তৃতীয় দফায় বিএনপি ও কয়েকটি দলের ডাকা সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিন বগুড়ায় মহাসড়কে বেশ কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেছেন অবরোধের সমর্থকেরা। এ সময় চলন্ত একটি অটোরিকশায় ককটেল নিক্ষেপ করে থামিয়ে পেট্রল ঢেলে সেটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়ার প্রথম বাইপাস সড়কের ঝোপগাড়ি এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার পর উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন চালক রফিকুল ইসলাম (৫৫)। তাঁর বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার শহরদিঘি এলাকায়। তিনি বলেন, ‘কিস্তিতে কেনা অটোরিকশায় চলত সংসারের চাকা। অটোরিকশার চাকা ঘুরলে স্ত্রী-সন্তানের মুখে খাবার জুটত, চাকা না ঘুরলে অনাহারে কাটাতে হতো। কয়েক দিন ধরেই অবরোধে উপার্জন প্রায় বন্ধ। অন্যদিকে কিস্তি শোধের চাপ। বাধ্য হয়ে অবরোধের মধ্যেই অটোরিকশা নিয়ে বের হই। যাত্রীর আশায় অটোরিকশা নিয়ে চারমাথা বাস টার্মিনাল থেকে মাটিডালির দিকে যাচ্ছিলাম। চলন্ত অটোরিকশায় ককটেল ছুড়ে থামিয়ে দেয়। এরপর লাঠি দিয়ে ভাঙচুর করে তারা। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেট্রল ঢেলে অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করে।’
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, অবরোধকারীরা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন এবং অগ্নিসংযোগ করে একটি অটোরিকশা পুড়িয়ে দিয়েছেন। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে বেলা ১১টা থেকে শহরতলির বনানী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবরোধ প্রত্যাখ্যান করে শান্তি সমাবেশ করছেন। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসানসহ বেশ কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। পরে অবরোধবিরোধী মিছিল করেন তাঁরা।