বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সহযোগিতা ও আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীন এ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
আজ বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হরিহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খামারি সমাবেশে ফরিদা আখতার এ কথা বলেন। জেলার ‘খামারি পরিষদ’ আয়োজিত ওই সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, বিল-বাঁওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিতে হবে। অমৎস্যজীবীদের হাতে এসব জলাধারের ইজারা দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তাঁর দাবি, তিন মন্ত্রণালয় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। দ্রুতই এর সমাধান হবে।
স্থানীয় খামারি তরিকুল ইসলাম তুরকির সভাপতিত্বে খামারি সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান ও ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমেদ মারুফ।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গ্যাক্রিয়েল পিনেদাছ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল হক, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, তানজির আলম রবিন, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ, শৈলকুপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের সদস্যসচিব ওসমান আলী প্রমুখ।