ধনীরা রুটি খায় ডায়াবেটিসের ভয়ে, আর গরিবেরা শক্তির জন্য ভাত খায়। তবে দুঃখের বিষয় সেই চালের পুষ্টি রাখা হচ্ছে না। চালকে পলিশ করে পুষ্টি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) কাজ শেষে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই কাজ শেষ হয়।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশে এখন খাদ্যের কোনো কমতি নেই। তবে খাদ্যের পুষ্টির সমস্যা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই খাদ্যে যেন কেউ ভেজাল না দেয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আশুগঞ্জ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আশুগঞ্জের একটি নতুন সাইলো (সংরক্ষণাগার) বা গুদাম নির্মাণে যেখানে ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হতো, সেখানে মাত্র ৪৭ থেকে ৪৮ কোটি টাকা খরচ করে এটিকে আগের অবয়বে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী ২০-২৫ বছর এতে আর হাত দিতে হবে না। বর্তমানে বিএমআরই করার কারণে সাইলোটি আবার পূর্ণ যৌবন ফিরে পেয়েছে। আরও অনেক আগেই সাইলোটির বিএমআরই করা দরকার ছিল। কিন্তু কোনো সরকার তা করেনি। বর্তমান সরকার তা করেছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে প্রধানমন্ত্রী সেদিকে এগোচ্ছেন এবং সেই নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাই আমাদের নিজ জায়গা থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে আমরা এই বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নয়, ২০৩১ সালের মধ্যেই সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল করিম খান ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক। স্বাগত বক্তব্য দেন সাইলোর অধীক্ষক সিরাজুস সালেকিন।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে আমদানি করা সরকারি গমের উল্লখযোগ্য পরিমাণ আশুগঞ্জ সাইলোতে খালাস করা হয়। ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৫২ বছরের বেশি সময়ের পুরোনো সাইলোটি ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছিল।