টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত শিশুটির পরিচয় মিলেছে। তাকে বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করা হবে।
আহত ওই শিশুর নাম তাওহীদ (২)। সে পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। গতকাল বুধবার মায়ের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় মামার বাড়ি মোমিনপুর গ্রামে যাচ্ছিল সে। পথে বঙ্গবন্ধু সেতু-তারাকান্দি রেলপথের ড্যাপাকান্দি এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার তিন আরোহী মারা যান। এতে আরও পাঁচ যাত্রী আহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু তাওহীদের মা নার্গিস বেগম (২৫) রয়েছেন।
ভূঞাপুর থানার পুলিশ জানায়, তাওহীদকে দুর্ঘটনার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তার কোনো স্বজন সেখানে না থাকায় তাকে ঢাকায় নেওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলো অনলাইনে ‘ট্রেনের ধাক্কায় আহত শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়ার কেউ নেই’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পুলিশ আরও জানায়, রাতে তাওহীদের পরিচয় পাওয়া যায়। তার চাচা তারা মিয়া রাত ১২টার দিকে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। প্রথমে তাওহীদকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তারা মিয়া আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানান, নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা তাওহীদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ভোররাত চারটার দিকে তাওহীদকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শিশু তাওহীদকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গতকাল রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামান ও ডেপুটি নেজারত কালেক্টর (এনডিসি) মো. খায়রুল ইসলাম দেখতে যান। খায়রুল ইসলাম জানান, শিশু তাওহীদের চিকিৎসার ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে।
আজ সকালে ভূঞাপুরের মোমিনপুর গ্রামে তাওহীদের মা নার্গিস বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দাফনের পর তাওহীদের বাবা লাল মিয়া ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।