নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি নুরুল আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ

নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে ১৯ জুলাই পালিয়ে যান ৮২৬ আসামি
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি নুরুল আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ সোমবার বেলা তিনটায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর আদালত পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

নুরুল আলম আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উপজেলার বাসিন্দা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কারাগার থেকে পালানো নুরুল আলম নরসিংদী আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য আসেন। আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি আবেদন করলে তাঁকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারারক্ষীরা বলেন, ১৯ জুলাই বিকেল সোয়া চারটার দিকে নরসিংদী কারাগারে আন্দোলনকারীরা মুহুর্মুহু ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালান। ওই সময় কারাভ্যন্তরে পেট্রলবোমা মেরে বন্দীদের থাকার জায়গাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। কারারক্ষীদের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে ভেতরে ঢুকে বন্দীদের অনেকগুলো কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হয়। কিছু কক্ষের তালা ভেঙে ফেলা হয়। চারপাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে গেলে বন্দী ৮২৬ জনই কারাগার থেকে পালিয়ে যান। এর আগে অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫০টি গুলি লুট করা হয়।

ওই দিন পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ বন্দীর মধ্যে ৯ জন ছিলেন জঙ্গি। তাঁদের মধ্যে সিটিটিসির হাতে খাদিজা পারভীন ও ইসরাত জাহান, র‌্যাবের হাতে ফারুক আহম্মেদ এবং নরসিংদী জেলা পুলিশের হাতে জুয়েল ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখনো পলাতক চার জঙ্গি হলেন হিজবুল্লাহ মিয়া, আবদুল্লাহ কামরুল, মো. মহিউদ্দীন ও আবদুল আলীম। এই চারজনও আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ নিয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৯ জঙ্গির মধ্যে ৫ জন আইনের আওতায় এলেন। বাকি চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।