নিহত আসাদুজ্জামান মুন্না ও সুফল মিয়া
নিহত আসাদুজ্জামান মুন্না ও সুফল মিয়া

ভৈরবে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরল দুই বন্ধু

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরেছে দুই বন্ধু। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু আহত হয়। পরে রাত ১০টার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে দুই বন্ধু মারা যায়।

নিহত দুজন হলো ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে সুফল মিয়া ও পৌর শহরের গাছতলা ঘাট এলাকার আতাউল্লাহ মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান মুন্না। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তাদের অপর বন্ধু বর্ণ। সে পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার আরাফাত মিয়ার ছেলে। তারা সবাই অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিহত সুফল মিয়া

স্বজন ও ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে সুফল, মুন্না ও বর্ণ—তিন বন্ধু মিলে একটি মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বের হয়। ঘোরাফেরার একপর্যায়ে তারা মোটরসাইকেলে করে ভৈরবে ফিরছিল। সন্ধ্যা সাতটার দিকে শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি ছিটকে চলন্ত একটি ট্রাকের নিচে পড়ে যায়। আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে ভৈরবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় সুফল ও মুন্নাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দুই বন্ধু সুফল ও মুন্না মারা যায়। আহত বর্ণকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নিহত আসাদুজ্জামান মুন্না

মুন্নার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার ভাই বিজয়। বলেন, ‘আমার পরিবারে বাইক আছে। কিন্তু মুন্নাকে চালাতে দেওয়া হয় না। আজ এই বাইক আমার ভাইয়ের জীবন কেড়ে নিল।’

নিহত সুফলের চাচা মো. শাকিব বলেন, সুফল এলাকার একটি ক্যাডেট একাডেমি স্কুলে পড়ত। ছেলে বড় কিছু হবে, এমন স্বপ্ন দেখত পরিবারের লোকজন। বন্ধুরা বেড়াতে যাচ্ছে, এ কথা জানা ছিল। কিন্তু তারা বাইকে যাবে, এ কথা জানা ছিল না। জানতে পারলে বাইকে যেতে নিষেধ করতেন তাঁরা।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাঝু মিঞা বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে গেছেন চালক। অটোরিকশাটিরও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।