আ জ ম নাছির উদ্দীন, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী
আ জ ম নাছির উদ্দীন, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী

বর্ধিত সভায় সাবেক ও বর্তমান মেয়রের বিতণ্ডা

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং বর্তমান মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই দুই নেতার মধ্যে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে এই বিতণ্ডা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও নগর কমিটির সম্মেলনকে সামনে রেখে এই বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি সংগঠনকে মজবুত করার জন্য সদস্যসংখ্যা বাড়ানোসহ সাবেক ছাত্র ও যুবনেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। তিনি নগর কমিটির যথাযথ দায়িত্ব পালন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

এরপর সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন যুগ্ম সম্পাদকের বিভিন্ন কথার বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন। দুজন বক্তব্য রাখার সময় অপরজন পাশ থেকে তর্ক-বিতর্ক করতে থাকেন।

সম্মেলন প্রসঙ্গে রেজাউল করিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, সম্মেলনের নামে টাকার ছড়াছড়ি কাম্য নয়। যেভাবে সংগঠন চলছে, সেভাবে চললে হবে না। গতানুগতিক সম্মেলন করে লাভ নেই। উপযুক্ত নেতৃত্ব আসছে কি না, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে তা নিশ্চিত করতে হবে। হালুয়া-রুটির জন্য সংগঠন করবে, তা হবে না।

এরপর আ জ ম নাছির উদ্দীন বক্তব্য দিতে উঠে এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘যারা আজ বড় বড় কথা বলছে আমরা তাদের অতীত জানি। সংগঠন সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গঠনতন্ত্র মেনে সবকিছু হচ্ছে। ওনার (মেয়র) পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে তিনি কী করেছেন। সেখানে আমি সম্মেলন করে দিয়েছি।’

এ সময় মেয়র রেজাউল করিম আবার নিজের আসনে দাঁড়িয়ে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি জবাব দিতে থাকেন। সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, বাগ্‌বিতণ্ডার সময় দুজনই উত্তেজিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রেখেছি। তা নিয়ে কিছুটা মত-দ্বিমত থাকবে। এটা স্বাভাবিক। এটা তেমন কিছু নয়।’

জানতে চাইলে আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, সম্মেলন বানচাল এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটা পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব ওয়ার্ড-ইউনিট সম্মেলন হচ্ছে, হবে। কৌশলে অতীতের মতো সাংগঠনিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করতে দেওয়া হবে না।