ঢাকার কেরানীগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত এবং তাঁর ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় ইবনে সিনা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কেরানীগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকেরা রাস্তায় প্রতিবাদ জানান। এ সময় ঢাকা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক হলেন আরিফুল ইসলাম (২৮)। তিনি বাংলা টিভির কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বিরোধী দলের সমাবেশ কেন্দ্র করে কদমতলী এলাকায় পুলিশ রাজধানীগামী গণপরিবহনের যাত্রীদের তল্লাশি চালাচ্ছিল। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন চড়াও হয়ে গালাগাল করে আমাকে মারধর করতে আসেন।
একপর্যায়ে তিনি জোরপূর্বক আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হলে আমাকে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন। এ সময় কর্তব্যরত সাংবাদিকেরা আমাকে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করেন।’
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবির, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশিদ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ট্রাফিক পরিদর্শক জাকির হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সাংবাদিক আরিফুল বলেন, ‘বিষয়টি আমি ঢাকা জেলা পুলিশর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে তাঁদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, আমাকে মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানো হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনাটি দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি পরিদর্শক আনোয়ার দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।