‘দেড় ঘণ্টা ধরে ভোটকেন্দ্রে বসে আছি। চারবার ইভিএম যন্ত্রে আঙুলের ছাপ মেলানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু মিলল না।’ আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে না পেরে সফিউর রহমান বকুল (৬৫) নামের এক ভোটার এসব কথা বলেন। সফিউর রহমানের বাড়ি নাভারন রেলবাজার এলাকায়।
শুধু সফিয়ার রহমান নন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই কেন্দ্রের সাতটি বুথ থেকে অনেক ভোটার ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছেন। সফিয়ার রহমান বলেন, ‘এর আগে অনেকবার ভোট দিয়েছি। যন্ত্রে ভোট দিতে এই প্রথম এলাম। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। হাতে সাবান দিয়েছি। টিস্যু দিয়ে আঙুল মুছে নিয়েছি। তারপরও ছাপ মিলল না।’
বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুর রাশেদ স্বীকার করেন, আঙুলের ছাপ না মেলায় সাতটি বুথ থেকে অনেকে ফিরে গেছেন। তবে তাঁর কাছে সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বয়স্ক ভোটারদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়েছে।
এই কেন্দ্রের ৫ নম্বর বুথের পোলিং কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা বলেন, সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত (এই একটি বুথ থেকে) অন্তত ২০ জনের আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট না দিয়ে ফিরে গেছেন। তিনি বলেন, রংমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রিসহ শ্রমিকশ্রেণির মানুষের আঙুলের ছাপ মেলাতে বেশি সমস্যা হচ্ছে।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম শাহীন বলেন, ‘এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে এমন হলে যন্ত্রে সঠিকভাবে হয়তো আঙুল মেলানো হচ্ছে না। যান্ত্রিক কোনো ত্রুটিও থাকতে পারে।’
দ্বিতীয় ধাপে আজ সকাল ৮টা থেকে শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল থেকে শার্শা উপজেলার বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নাভারন রেলবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুরুজবাগান পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ অন্তত আটটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারের লম্বা লাইন নেই। প্রথম চার ঘণ্টায় বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে কেন্দ্র থেকে জানা গেছে।