সমাজে প্রবীণেরা অবহেলিত। তাই প্রবীণদের সম্মান দিতে হবে। প্রবীণেরা শেষ বয়সে এসে অসহায় হয়ে পড়েন। তাঁদের কল্যাণে সরকারি সুযোগ–সুবিধা ও হাসপাতালে সেবা বাড়াতে হবে। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে এ আলোচনা সভা হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপত্বি করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান সরদার। সহকারী পরিচালক মো. সোলায়মানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবীন মিয়া, কে এম ইশমাম, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক তালুকদার, প্রতিবন্ধীসেবা ও সাহায্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আতিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রবীণেরা আমাদের সমাজে অবহেলিত। পরিবার ও সমাজ থেকে প্রবীণদের সম্মান করতে হবে। সমাজে তাঁদের অবদান তুলে ধরতে হবে। জীবনের শেষ বয়সে প্রবীণদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে হয়। কোনো প্রবীণকে পরিবার ছেড়ে যাতে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে না হয়, সে জন্য সচেতন হতে হবে এবং উদ্যোগ নিতে হবে। তাঁদের খাওয়াদাওয়া ও চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হবে।’
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, প্রবীণ হাসপাতালে প্রতি মাসের শেষ মঙ্গলবার প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। সিভিল সার্জন অফিসের সহযোগিতায় একজন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার প্রতিদিন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছেন।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ‘প্রবীণেরা আমাদের সমাজ ও দেশের সম্পদ। তাঁরা অবহেলিত। এ কারণে সরকার মা–বাবার ভরণপোষণ আইন করেছেন। ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, যাতে কোনো মা–বাবাকে প্রবীণ নিবাসে যেতে না হয়।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘যারা আজ নবীন, আগামী দিনে তারাই হবে প্রবীণ। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ কাজে লাগাতে হবে। প্রবীণদের পরামর্শে সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে। তাহলে আমরা উন্নত জাতিতে পরিণত হতে পারব।’ তিনি প্রবীণদের কল্যাণে সর্বপ্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।