১০১ ইয়াবা ব্যবসায়ীর লঘুদণ্ডে নাগরিক সমাজের অসন্তোষ

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র
কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

মাদক মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত কক্সবাজারের টেকনাফের ১০১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর দেড় বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাকে লঘুদণ্ড বলছেন কক্সবাজারের নাগরিক সমাজ। তাঁরা এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ জন্য তাঁরা রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যপ্রমাণ তুলে ধরার ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা দণ্ডপ্রাপ্তদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান।

আজ বুধবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মাদক ও অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করেন। অস্ত্র মামলার রায়ে ১০১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আর মাদক মামলায় ১০১ আসামির প্রত্যেককে ১ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কক্সবাজার সিভিল সোসাইটিজ ফোরামের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে ২০০৮ সালে। টেকনাফসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত টেকনাফের ১০১ মাদককারবারি ও পৃষ্টপোষক দেড় লাখ ইয়াবা, ৩০টি অবৈধ অস্ত্র, ৭০টি তাজা কার্তুজসহ আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাঁরা ইয়াবা ও অস্ত্রের ব্যবসা করে টাকা কামিয়েছেন। তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল। লঘুদণ্ড দেখে এখন আরও অনেকে মাদক ব্যবসায় উৎসাহিত হবে।

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করেছিলেন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ তুলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় এই লঘুদণ্ড। আইনের ফাঁকফোকরে এ দণ্ড সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা উচিত।

১০১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর কে কীভাবে অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন, তা সবার জানা বলে মন্তব্য করেন কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের পর ধরে নেওয়া হয়েছিল, এ ব্যবসা বন্ধ হবে। বাস্তবে মাদকের কারবার বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আসার পর ইয়াবা ব্যবসায়ীরা মাদকের কারবার চালিয়েছেন।