ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েছে। আজ শুক্রবার সকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায়
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েছে। আজ শুক্রবার সকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায়

গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত আছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদ, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে। আজ সকাল ৯টায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা-সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অন্য তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একই সময়ে একই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানি বাড়লেও আপাতত বড় কোনো বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক। তিনি বলেন, উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে তিস্তা বাদে অন্য তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে নদীর পানি বাড়ার কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি, ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, কঞ্চিপাড়া ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।