বেনজীরের সাভানা ইকোপার্ক শনিবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলছে

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। গোপালগঞ্জ সদরের সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জব্দ করা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য পুনরায় চালু করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে দর্শনার্থীরা ১০০ টাকা প্রবেশমূল্য দিয়ে পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে পার্কটির পর্যবেক্ষণ ও তদারকি কমিটির সদস্যসচিব গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান এবং পার্কের তত্ত্বাবধায়ক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে অবস্থিত এ পার্ক। ৩ জুন বিকেল ৫টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির ফটকে নোটিশ টাঙিয়ে বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পার্কটি বন্ধের কারণ হিসেবে সার্ভারের সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়। ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে পার্কটি নিয়ন্ত্রণে নেয় জেলা প্রশাসন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী এবং গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল কাদেরকে পার্কের তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হয়।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের প্রধান ফটক

গত বুধবার (১২ জুন) রাতে পার্কের কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বৃহস্পতিবার পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক এবং গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালককে সদস্যসচিব করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ওই পার্কে নিরাপত্তার জন্য আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শনিবার সকাল আটটা থেকে দর্শনার্থীদের জন্য পুনরায় পার্কটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইজিপি থাকার সময় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা (দুদকের তথ্য অনুযায়ী) জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ রিসোর্ট ও পার্কের সব জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের ভাষ্য, ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুদক তদন্ত শুরু করে।