পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও এক লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ এক শিশু

পাতার চর এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় শিশু খাদিজার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনার প্রায় ৪২ ঘণ্টা পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার পাতার চর এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় খাদিজা নামের আট বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে এ দুর্ঘটনায় এখনো মারিয়া নামের আট বছরের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

শিশু খাদিজা বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবিতে নিহত লিপি বেগমের (৩০) মেয়ে। পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রেজাওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ট্রলারডুবির ঘটনার প্রায় ৩৯ ঘণ্টা পর আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নিখোঁজ বর রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তাঁর মা সেলিনা বেগমের (৪০) লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বদনার চর এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নববধূকে নিয়ে বরযাত্রীরা গত শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে ট্রলারে তেঁতুলিয়া নদী পাড়ি দিয়ে দশমিনার উত্তর রনগোপালদি গ্রামে ফিরছিলেন। পথে তেঁতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি উল্টে নদীতে ডুবে যায়। এ ঘটনার পর নদীতে জেলেরা ওই দিনই ট্রলারের যাত্রী লিপি বেগমের লাশ তেঁতুলিয়া নদী থেকে উদ্ধার করেন। নিখোঁজ হন বর রাব্বি হাওলাদার, তাঁর মা সেলিনা বেগমসহ চারজন। ঘটনার পর পটুয়াখালী ও বরিশালের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিসহ উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে তেঁতুলিয়া নদীতে উদ্ধারকাজ শুরু করে।

এদিকে পরদিন স্থানীয় লোকজন ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকেন বর রাব্বি হাওলাদারসহ চারজন। পরে আজ সকাল থেকে রাব্বি হাওলাদারসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আরেক শিশু মারিয়ার লাশ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান চলছে।