পাবনার সাঁথিয়ায় সড়কে গলা কেটে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার রাউত গ্রামের ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এলাকার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত ব্যক্তির ভাতিজাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
নিহত মো. বাকুল (৪৫) ধুলাউড়ি ইউনিয়নের রাউতি গ্রামের রওশনের ছেলে। তিনি ঘোড়ার গাড়ি চালাতেন। বাকুল চরমপন্থী দলের নেতা ছিলেন। তিনি বছর দুয়েক আগে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৯টার দিকে মো. বাকুল ঘোড়ার গাড়িতে ধান নিয়ে সাঁথিয়ার রাউত গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় এলাকার ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এলাকার সড়কে পৌঁছালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ঘোড়ার গাড়ি রোধ করে বাকুলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রেখে যান। এ সময় নিহত বাকুলের ভাতিজা আলেপ হোসেন (২৫) এগিয়ে এলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুর্বৃত্তরা কোপায়।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত আলেপকে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাঁকে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, সন্ত্রাসীদের হাতে বাকুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকুল চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন ও তাঁর নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।