সীতাকুণ্ডে মহাসড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের ৫ সদস্যকে প্রত্যাহার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই দিনে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও ফেনীর ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশের ৫ জন করে আরও ১০ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ থেকে প্রত্যাহার হওয়া সদস্যরা হলেন সার্জেন্ট অপুল ঘোষ, কনস্টেবল মো. সোহেল, মো. ফারুক, মো. সরোয়ার ও মো. রেজাউল। তাঁদের প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আইসি) পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। এ প্রত্যাহারকে তিনি পুলিশের ‘রুটিন ওয়ার্ক’ বলে দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। এর আগেও গত ১২ মে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের পাঁচ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তখনো তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছিল।

হাইওয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুই দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে একটি পিকআপ ভ্যান ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পিকআপ ভ্যানটি কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের এলাকায় আসার পর চাঁদাবাজির শিকার হয়। এরপর জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ এবং ফেনীর ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশে আওতাধীন এলাকায় চাঁদাবাজির শিকার হয়ে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ করেন পিকআপ ভ্যানের চালক। এরপর এ তিনটি এলাকার ৫ জন করে মোট ১৫ জন হাইওয়ে পুলিশের সদস্যকে প্রত্যাহার করেন কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।

আজ শুক্রবার কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁর ফাঁড়ির পাঁচ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রাতেই তাঁদের কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি পুলিশের রুটিন ওয়ার্ক বলে দাবি তাঁর। তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে কি না, সেটিও জানেন না বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।