খুলনা ওয়াসা ভবন
খুলনা ওয়াসা ভবন

খুলনা ওয়াসা

বছরের চার মাসই পানি থাকে লবণাক্ত

১৪ বছর ধরে নগরে পানির সরবরাহব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত খুলনা ওয়াসা। কিন্তু নগরের অধিকাংশ মানুষের কাছে এখনো পানি পৌঁছে দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। বছরের চার মাস ওয়াসার সরবরাহ করা পানি থাকে লবণাক্ত, যা ব্যবহারের অনুপযোগী। আর পানিতে দুর্গন্ধ ও ময়লার অভিযোগ তো আছেই। বাড়ি বাড়ি বসানো সাবমার্সিবল পাম্পই তখন ভরসা। অবশ্য বৃষ্টি শুরু হলে পানি আর লবণাক্ত থাকে না। ওয়াসার পানি ব্যবহার না করলেও গ্রাহকদের প্রতি মাসে বিল গুনতে হয় ঠিকই।

এত অভিযোগের পরও ওয়াসার সেবার মান বাড়েনি। উল্টো বছর বছর খরচ বেড়েছে। অনেকে ওয়াসার পানি ব্যবহার করেন না। ব্যক্তি উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি সাবমার্সিবল পানির ব্যবস্থা করেছেন।

তবে খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, নাগরিক সেবার মান বাড়িয়ে চলেছে তারা। এরই অংশ হিসেবে পানি সরবরাহের পাশাপাশি পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

চার মাস পানির কষ্ট

শুষ্ক মৌসুম মার্চ থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত নগরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। তখন নলকূপগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। পানির কষ্ট বাড়ে মানুষের। এ কারণে ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পের দিকে তাকিয়ে ছিল নগরবাসী। আশা ছিল, ওই প্রকল্প চালু হলে হয়তো আর মানুষকে পানির কষ্টে ভুগতে হবে না।

২০১৯ সালের নভেম্বরের দিকে যখন মধুমতী নদীর পানি সরবরাহ শুরু হয়, তখন সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু বিপত্তি বাধে মার্চের দিকে এসে। ওই সময় দেখা যায়, ওয়াসার পানি লবণাক্ত। সেটি প্রায় জুন পর্যন্ত চলে। পরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে ধীরে ধীরে লবণাক্ততা কমতে শুরু করে। নতুন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা ওঠে।

ওয়াসার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শুষ্ক মৌসুমে মধুমতী নদীর পানিতে লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে। এ কারণে সরবরাহ করা পানি লবণাক্ত। ২০১১ সালে যখন সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল, তখন মধুমতী নদীর পানি এমন ছিল না। সেই হিসেবে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।

ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, পানি ব্যবহার না করলেও শুধু সংযোগ থাকলে প্রতি মাসে ২০ মিলিমিটার ব্যাসের পাইপের সংযোগের জন্য ন্যূনতম ২৩৮ টাকা দিতে হয়। কয়েক মাস আগেও যা ছিল ১৪৪ টাকা। যার সংযোগ পাইপের ব্যাস বেশি, তার সর্বনিম্ন টাকা পরিশোধের পরিমাণও বেশি।

খুলনা ওয়াসা ভবন

পানি সরবরাহের ইতিহাস

১৮৮৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর খুলনাকে মিউনিসিপ্যাল বোর্ড ঘোষণা করা হয়। তখন টুটপাড়া, শেখপাড়া, চারাবাটি, হেলাতলা ও কয়লাঘাট এলাকার সমন্বয়ে খুলনা পৌর সরকার যাত্রা শুরু করে। নগরবাসীর জন্য ১৯২১ সালে প্রথম পানির সরবরাহব্যবস্থা চালু করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তখন নগরে বসানো হয়েছিল পানি শোধনাগার (ট্রিটমেন্ট প্লান্ট)। পাশের রূপসা নদী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি এনে সেখানে শোধন করে নগরবাসীকে সরবরাহ করা হতো। তবে ওই পানি সরবরাহের পরিমাণ ছিল খুব কম। পানি শোধনের পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য কিছু উৎপাদন নলকূপও স্থাপন করা হয়। ওই সময় দিনে ৯০০ ঘনমিটার পানি সরবরাহ করত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

১৯৮৪ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন গঠিত হলে পানি সরবরাহের ওই ব্যবস্থা সিটি করপোরেশনের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর পানির চাহিদা মেটাতে আরও কিছু উৎপাদক নলকূপ স্থাপন করে সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খাওয়ার পানি সরবরাহের জন্য নলকূপও স্থাপন করা হয়।

২০০৮ সালের ২ মার্চ সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহব্যবস্থার এসব কার্যক্রম নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় খুলনা ওয়াসা। সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে ১০ হাজার নলকূপ ও ৪৮টি উৎপাদক নলকূপ পায় প্রতিষ্ঠানটি। পানি শোধনাগারটিও তাদের অধীনে আসে। তবে তত দিনে তা পুরোপুরি অকেজো হয়ে যায়। খুলনা ওয়াসার কার্যক্রম শুরু হয় মূলত ২০০৯ থেকে। সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে খুলনা ওয়াসা যখন পানি সরবরাহব্যবস্থা বুঝে নেয়, তখন নগরের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ পানির সুবিধা পেত। ২০১৮ সালে ২৮ শতাংশ মানুষ পানি সরবরাহের আওতায় আসে। আর বর্তমানে ৮০ শতাংশ মানুষ ওয়াসার পানি সেবার আওতায় এসেছে বলে দাবি ওয়াসার। ওয়াসার হিসাব বলছে, বর্তমানে নগরের ৪০ হাজার বাড়িতে পানির সংযোগ রয়েছে। পানি শোধনাগার থেকে প্রতিদিন সাত কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

নানা প্রকল্পে যত ব্যয়

২০১১ সালের দিকে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে প্রকল্প গ্রহণ করে খুলনা ওয়াসা। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর ৫২ কিলোমিটার দূরের মধুমতী নদী থেকে খুলনা নগরে পানি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, সরবরাহ লাইন স্থাপনসহ ওই প্রকল্পের খরচ ধরা হয় ২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৫০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের ও বাকি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে এডিবি ও জাইকা। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

খুলনা ওয়াসা যখন বড় প্রকল্পটি গ্রহণ করে, তখন পানিতে লবণাক্ততা বাড়তে পারে, এমন চিন্তা মাথায় নেওয়া হয়নি। এ কারণে লবণাক্ততার বিষয়টি বাদ দিয়েই ওই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, লবণাক্ততা পরিশোধের প্ল্যান্ট বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। তা ছাড়া সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের লবণাক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল। ওই অনুযায়ী লবণাক্ততা পরিশোধন প্ল্যান্ট তৈরি না করে পানির রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে। এখন যেহেতু লবণাক্ততার সময় বাড়ছে, তাই আরেকটি রিজার্ভার তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

ওয়াসার সঙ্গে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন দুটি ব্যাপার জড়িত থাকলেও এত দিন শুধু পানির সুবিধা দিয়ে এসেছে খুলনা ওয়াসা। তবে নতুন করে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। ওই প্রকল্প ব্যয়ে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি।

প্রকল্পের আওতায় দুটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, আটটি পয়োনিষ্কাশন পাম্পিং স্টেশন ও ২৭০ কিলোমিটার পয়োনিষ্কাশন লাইন তৈরি করা হবে। নগরের ৩০ হাজার বাড়িকে ওই পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার আওতায় রাখার পরিকল্পনা করছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় প্রকল্পের কাজও শুরু করা হয়েছে।

খুলনা ওয়াসা ভবন

পানিতে দুর্গন্ধ–ময়লা, তবু বাড়ে দাম

ওয়াসার পানি লবণাক্ততার পাশাপাশি দুর্গন্ধযুক্ত ও ময়লা। তবে সেটা সব সময় নয়। অনেক গ্রাহকের অভিযোগ, দুর্গন্ধের পাশাপাশি ওয়াসার পানিতে ক্ষুদ্র শামুকও পাওয়া যায়। এসব কারণে নগরবাসীর বড় একটি অংশ ওয়াসার পানি ব্যবহার করে না। নগরের নিরালা এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, মাঝেমধ্যে হঠাৎ করেই ওয়াসার দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি ট্যাংকে ঢুকে পড়ে। তখন পুরো ট্যাংক পরিষ্কার না করে পানি ব্যবহার করা যায় না। এ কারণে সাধারণত ওয়াসার পানি ব্যবহার করা হয় না।
এত অভিযোগের পরও গত ১৪ বছরে পাঁচ দফা পানির দাম বাড়িয়েছে খুলনা ওয়াসা। এর মধ্যে প্রথম সাত বছর পানির দাম বাড়ানো হয়নি। তবে ২০১৫ সাল থেকে পরপর পাঁচবার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। ওই বছরের ১ জানুয়ারি ৪ টাকা ইউনিট (এক হাজার লিটার) ধরে পানির নতুন মূল্যতালিকা অনুমোদন করে ওয়াসা বোর্ড। এক বছর পরই ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পানির দাম আরও ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়। এতে পানির দাম বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৮০ পয়সা। ২০১৭ সালে প্রতি ইউনিট পানির মূল্য দাঁড়ায় ৫ টাকা ৭৬ পয়সা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেও পানি দাম বেড়ে হয় ৬ টাকা ৯১ পয়সা। গত আড়াই বছর এই মূল্যই কার্যকর ছিল। সর্বশেষ চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর পানির দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতি ইউনিট পানির দাম দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯৮ পয়সা।

পানির মূল্যতালিকা বাড়াতে কোনোবারই গ্রাহকের মতামত নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ পানির দাম বাড়ানোর পর নগরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

বাড়ি বাড়ি সাবমার্সিবল পাম্প

নগরের বসুপাড়া এলাকায় চারতলা বাড়ি রয়েছে আমজাদ হোসেনের। তাঁর ওই বাড়িতে আটটি পরিবারের অন্তত ৩০ জন বসবাস করেন। পানির চাহিদা মেটাতে তিনি বাড়িতেই সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন করেছেন। শুধু আমজাদ হোসেন নন, নগরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এমন সাবমার্সিবল পাম্প বসানো আছে। বিশেষ করে বহুতল ভবনগুলোয় তো পাম্প রয়েছেই। ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় বাড়িতেই এসব পাম্প বসানো হয়।

আমজাদ হোসেন বলেন, ৩০ জনের জন্য দিনে কমপক্ষে ১০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন। আগে বাড়ির নিচতলায় নলকূপ ছিল। তা দিয়ে খাওয়ার পানিসহ অন্যান্য পানির চাহিদা অনেকটা পূরণ হতো। তবে গত পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর এতটাই নিচে নেমে যাওয়া শুরু করে যে নলকূপগুলোও অকেজো হয়ে পড়ে। তখন বাড়ির বাসিন্দাদের পানির চাহিদা মেটাতে সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন করা হয়।

ওয়াসা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ দাবি করেন, ওয়াসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গত ১৪ বছরে নগরের প্রায় সব মানুষই তাঁদের সেবার আওতায় এসেছেন। পানির সেবার মান নিশ্চিত করে নতুন করে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। ওয়াসা দিন দিন নাগরিক সেবার মান বাড়িয়ে চলেছে।

পানির মূল্যতালিকা বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি যুক্তি দেখান, সেপ্টেম্বরের আগপর্যন্ত ওয়াসার আয় ছিল ৯০ লাখ টাকা। আর ব্যয় ছিল প্রায় দ্বিগুণ, ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে নিজেদের আয় দিয়ে চলার জন্য। মূল্য বাড়ানোর পর গত সেপ্টেম্বর থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। শোধনাগারে প্রতি ইউনিট পানি উৎপাদনের খরচ ১৬ টাকারও বেশি। সে হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট নেওয়া হচ্ছে ৮ টাকা ৯৮ পয়সা। এটা ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

নাগরিক নেতাদের অভিমত

ওয়াসার মধুমতী নদী থেকে পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু করার পর ২০১৫ সালের শেষের দিকে নগরের পিকচার প্যালেস মোড়ে একটি মানববন্ধন করে পরিবেশ সুরক্ষায় উপকূলীয় জোট নামের একটি সংগঠন। তখন ওই সংগঠনের দাবি ছিল, মধুমতী নদী খনন না করে পানি নেওয়া হলে আশপাশের নদী থেকে লবণাক্ত পানি চলে এসে মধুমতীর পানি লবণাক্ত করবে। এতে ওই নদীর মিষ্টি পানির আধার নষ্ট হবে। এলাকার কৃষিতে বিপর্যয় ঘটবে।

ওই সংগঠনের সদস্যসচিব এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমরা যখন মানববন্ধন করে শঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম, তখন সেটি গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আমাদের সেই শঙ্কাই বাস্তব রূপ নিয়েছে। অপরিকল্পিত ওই প্রকল্পের ফলে মিষ্টি পানির আধার মধুমতী নদীতে লবণাক্ত পানি বাড়ছে। এতে এলাকার কৃষিতেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।’

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম প্রথম আলোকে বলেন, নগরবাসীর পানির সংকটে ওয়াসা যে ভূমিকা পালন করছে, তা খুবই অপ্রতুল ও অপর্যাপ্ত। অন্যদিকে ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ, ময়লা। না ফুটিয়ে পান করা যায় না। গুণগত মান না বাড়িয়ে পানির দাম বাড়ানো হলো, এটা একধরনের প্রতারণা। দাম বাড়াতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত, গ্রাহকদের মতামত নেওয়া উচিত, তা–ও করা হয়নি।