টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, পৃথিবীর সব দেশেই সাংবাদিকতা পেশায় ঝুঁকি আছে, এই ঝুঁকি বাংলাদেশেও আছে। একই ঝুঁকি সিভিল সোসাইটির ক্ষেত্রেও আছে। তারপরও সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। সাংবাদিকেরা পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করে কাজ করতে পারলে ঝুঁকি অনেক কমে আসবে।
আজ বুধবার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিষয়ে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কথা বলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। ইউনেস্কো ঢাকা অফিস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) উদ্যোগে চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি এলাকায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন সাংবাদিক বদরুদ্দোজা বাবু। কর্মশালায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কলাকৌশল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির জন্য গল্প বলার কৌশল, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও তা নিরসনের উপায় এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক জাতিসংঘের অ্যাকশন প্ল্যান ও দায়মুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সকাল ১০টায় কর্মশালার উদ্বোধন করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ ড. সুজান ভাইজ। তিনি বলেন, যখন থেকে ইউনেস্কো শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা শুরু করেছে, তখন থেকেই তথ্যের অবাধ প্রবাহ ত্বরান্বিতকরণ নিয়ে কাজ করছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ‘ইউএন প্ল্যান অব অ্যাকশন অন সেফটি অব জার্নালিস্ট’ গ্রহণ করেছে এবং তার বাস্তবায়নে কাজ করছে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম ও সমন্বয়ক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সহসমন্বয়ক জাফর সাদিক এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের কমিউনিকেশন অফিসার নূরে জান্নাত প্রমা। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা চট্টগ্রামে কর্মরত ২৯ সাংবাদিককে সনদ প্রদান করা হয়।