কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মোহাম্মদ আতাউল্লাহ (৫০) নামের এক রোহিঙ্গা মাঝিকে (নেতা) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আতাউল্লাহ রোহিঙ্গা শিবিরের এ-১ ব্লকের মৃত জালাল আহমদের ছেলে এবং এ ব্লকের হেড মাঝির দায়িত্বে ছিলেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাজার থেকে ফেরার পথে আশ্রয়শিবির-সংলগ্ন এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ওসি বলেন, উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী-১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির-সংলগ্ন বাজার থেকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে শিবিরের ঘরে ফিরছিলেন আতাউল্লাহ। পথে দুষ্কৃতকারীরা আতাউল্লাহকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক মোহাম্মদ আতাউল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, আতাউল্লাহ মাঝি আশ্রয়শিবিরে আরসাবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি আরসার তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতেন। হয়তো এ কারণে তাঁকে আরসার লোকজন হত্যা করেছে। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির আগে আরসা নিয়ন্ত্রণ করত, এখন সেখানে আরএসও ঢুকে পড়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। তাতে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা আতঙ্কে রয়েছেন।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে আট মাসে আশ্রয়শিবিরে ৫৭টি সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৬৯ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ২১ জন আরসার সদস্য, ৩ জন আরএসওর সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।