বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ বলেছেন, আওয়ামী সরকারের ব্যর্থতা ও ভুল সিদ্ধান্তে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষের আয় সংকুচিত হয়ে গেছে। প্রতিটি পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার সুদূরপরাহত। গুম, খুনসহ মানবাধিকারের লঙ্ঘন করে পুরো রাষ্ট্রকেই যেন আয়নাঘরে বন্দী রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল শেষে স্থানীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সৈয়দ এমরান সালেহ এসব কথা বলেন। লোডশেডিং, জ্বালানি তেল, সার, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির প্রথম দিন আজ।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ে মানুষ বিপর্যস্ত, কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। খরায় ও পানি দিতে না পারায় ধানখেত ফেটে চৌচির। বিদ্যুৎ–সংকট, সার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকের মাথায় হাত। সর্বগ্রাসী সংকটে দেশ বিপর্যস্ত। সরকারের মসনদ কেঁপে উঠছে। জনগণ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা তালগোল পাকিয়ে ক্রমাগত মিথ্যাচার করছে। সত্য আড়াল করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এ সময় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ, জেলা বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাকের উল্লাহ, আসলাম মিয়া, আবদুল হাই, নাদিম আহম্মদ, আবু হাসনাত বদরুল, জেলা বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি শামসুল হক, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি শামসুল হক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, ছাত্রদলের উপজেলা আহ্বায়ক নাইমুর আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পৌর শহরের কোর্ট বিল্ডিংসংলগ্ন শহীদ স্মৃতিসৌধ থেকে বিকেল পাঁচটার দিকে সৈয়দ এমরান সালেহর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।