মাসুদ করিম
মাসুদ করিম

বরগুনায় ডিসি অফিসের ‘কোটিপতি’ কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের ট্রেজারি শাখার অফিস সহকারী মো. আল মাসুদ করিম ও তাঁর স্ত্রী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আজ বৃহস্পতিবার দুদকের পটুয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাসেল রনি মামলাটি করেন।

দুদক কর্মকর্তা রাসেল রনি প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাসুদ করিম যে সম্পদবিবরণী জমা দিয়েছেন, তা যাচাইকালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি উঠে আসে। তিনি সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তথ্য গোপন করায় মাসুদ করিম ও তাঁর স্ত্রী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, আসামি মাসুদ করিম ২ কোটি টাকার বেশি সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে আয় করেছেন, যা দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁর স্ত্রী খাদিজা আক্তারের নামে ২২ লাখ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়, যা অবৈধভাবে উপার্জন করা হয়েছে। দুদকের নোটিশের জবাবে মাসুদ ৪১ লাখ ৬৭ টাকার সব সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। কিন্তু বিআরটিএর বরগুনা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, খাদিজার নামে দুটি যানবাহন নিবন্ধনের তথ্য পাওয়া গেছে, যা সম্পদবিবরণীতে উল্লেখ করেননি। খাদিজা মূলত একজন গৃহিণী। নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিলেও ব্যবসায়ের সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি। ব্যবসার অবস্থান শ্বশুরবাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করলেও পরিদর্শনের সময় পরিলক্ষিত হয়নি।

আসামি মাসুদ করিম সরকারি কর্মচারী হয়ে অসদাচরণের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছে এবং তাঁর স্ত্রী খাদিজা তাঁকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে দুদক আইন ২০০৪–এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ দণ্ডবিধি, ১৮৬০–এর ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

জানতে চাইলে মাসুদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, মামলার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কে বা কারা তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছেন, তিনি জানেন না।