ফেনীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কলেজ ছাত্র মাহবুবুল হাসান মাসুম
ফেনীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কলেজ ছাত্র মাহবুবুল হাসান মাসুম

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ, তিন দিন পর সোনাগাজীর কলেজছাত্রের মৃত্যু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার তিন দিন পর ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মাহবুবুল হাসান (২১)। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মাহবুবুল হাসান উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চর চান্দিয়া এলাকার মৃত নোমান হোসেনের ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর মৃত্যুতে আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয়জন ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, গত রোববার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় মিছিলে ছিলেন মাহবুবুল হাসান। এমন সময় ফেনী শহরের ট্রাংক রোড থেকে আওয়ামী, যুব ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রসহ এসে ছাত্রদের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে অন্তত ৫০ জনের বেশি ছাত্র-জনতা গুরুতর আহত হন।

মাহবুবুল হাসানের ভাই মাহফুজ আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই মাসুম ছাগলনাইয়া কলেজ থেকে বাংলা বিষয়ে অনার্স শেষ করেছেন। গত রোববার সকালে ফেনীতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিলে যোগ দেন তিনি। ওই দিন দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে মাথায় তিনটি গুলিবিদ্ধ হন মাসুম। তাঁকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। গতকাল সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, রাতে চট্টগ্রামের হামজাবাগ শাহী জামে মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে মাহবুবুলের লাশ নিয়ে তাঁরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সোনাগাজী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় ও সকাল সাড়ে দশটায় নিজ বাড়ির দরজায় তৃতীয় জানাজা শেষে মাসুমের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।