দিনাজপুরে ১০ দিন ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তবে দিনাজপুরে প্রাথমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যদিও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
দিনাজপুরে টানা ১০ দিন রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। কুয়াশায় ঢেকে থাকছে রাস্তাঘাট-লোকালয়। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও হাড়কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ। শীতের তীব্রতা না কমা পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার কথাই বলছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ও ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে রোদের তেমন একটা তাপ নেই।
এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সরকারি নির্দেশনা মেনে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। মুঠোফোনে তিনি বলেন, স্কুল খোলা রাখা হয়েছে। শিক্ষকেরা স্কুলে যাবেন। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিতে পাঠদান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর জিলা স্কুল চত্বরে কথা হয় চতুর্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা বলে, ‘অত সকালে স্কুলে আসতে মন চায় না। খুব ঠান্ডা। স্কুল বন্ধ হইলেই ভালো।’
তবে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রেখেছে শহরের গণেশতলা এলাকায় সেন্ট যোশেফ স্কুল। গণেশতলা এলাকায় এক অভিভাবক রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা বড়রাই শীতে কাহিল হয়ে পড়েছি। সেখানে ছোটদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। শীত কমে না যাওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা উচিত।’
মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল এখনো বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’
এদিকে জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আজ জেলায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। এই আবহাওয়া আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।