মুন্সিগঞ্জে লুট হওয়া ২১৯ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে পুলিশকে দিল সেনাবাহিনী

মুন্সিগঞ্জের থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।রোববার সকালে মুন্সিগঞ্জ সার্কিট হাউজে
ছবি: প্রথম আলো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকার পতনের পর মুন্সিগঞ্জ সদর থানা, ফাঁড়ি, ট্রাফিক অফিস ও টঙ্গিবাড়ী থানা থেকে অস্ত্র লুট হয়। লুট হওয়া এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। তবে কী পরিমাণ অস্ত্র এখনো উদ্ধার বাকি আছে, সে তথ্য দিতে পারেননি মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার।

মুন্সিগঞ্জ ও টঙ্গিবাড়ীতে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করা হয়। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সার্কিট হাউসে পুলিশ সুপার আসলাম খানের কাছে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুবায়ের মোহাম্মদ খালেদ হোসেন, ক্যাপ্টেন রিফাত রহমান ও ক্যাপ্টেন চার্লস অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন। এর মধ্য রয়েছে ১৪০টি রাইফেল, পিস্তল ও শটগান এবং ৩ হাজার ৯৩৪টি গোলাবারুদ। এ ছাড়া উদ্ধার হওয়া ১ লাখ ৯ হাজার টাকা ও বিভিন্ন সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গিবাড়ী থানা-পুলিশের কাছে উদ্ধারকৃত ৭৯টি অস্ত্র ও ৩ হাজার ৮৯১টি গোলাবারুদ বুঝিয়ে দেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

তবে কী পরিমাণ অস্ত্র এখনো উদ্ধার বাকি আছে, সে তথ্য দিতে পারেননি মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান। তিনি বলেন, অস্ত্রের হিসাব-নিকাশ চলছে। রাতের মধ্যে পুরো হিসাবটা জমা হবে, তখন বলা যাবে।

৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুন্সিগঞ্জ সদর থানা, টঙ্গিবাড়ী থানা, সদর পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে।